Band Width সময়ের সাপেক্ষে ডেটা ট্রান্সমিশন অর্থাৎ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে বা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হওয়ার গতিকে ব্যান্ড উইড্থ বলা হয়। যে হারে ডেটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। এর একক হলো bit per second (bps) অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে ব্যান্ড উইড্থ বলা হয়। Band width কম হলে ইন্টারনেট থেকে কিছু ডাউনলোড করতে সময় অনেক বেশি লাগে। আর Band width বাড়াতে গেলে খরচ বেশি হয়। বর্তমানে কয়েক মিলিয়ন কম্পিউটার ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত আছে। ISP (Internet Service Provider) ইন্টারনেটের সাথে তাদের সার্ভারকে যুক্ত রাখে। ISP উচ্চগতির একটি বড় অংশ কিনে তা ছোট অংশে ভাগ করে(chunk) বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হয়। গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী ISP বিভিন্ন গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকেন। ডেটা কমিউনিকেশন চ্যানেলকে স্পীড বা গতির উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band)
২. ভয়েজ ব্যান্ড (Voice Band)
৩. ব্ৰড ব্যান্ড (Broad Band) ।
১। ন্যারো ব্যান্ড: ন্যারো ব্যান্ডের গতি সাধারণত 45 হতে 300 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত ধীর গতিসম্পন্ন এবং কম ডেটা স্থানান্তরের জন্য এই ধরনের ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। যেমন: টেলিগ্রাফ।
২। ভয়েজ ব্যান্ড: ভয়েজ ব্যান্ডের গতি 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত মধ্যম পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরের জন্য এটি
ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: টেলিফোন।
৩। ব্রড ব্যান্ড: ব্রড ব্যান্ডের গতি 1 Mbps হতে সর্বোচ্চ অনেক বেশি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত উচ্চগতি সম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিটের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহরণ: ফাইবার অপটিক ক্যাবল, রেডিও ওয়েভ ইত্যাদি।